আবু সুফিয়ান সাখর ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-২, কুরাইশদের প্রধান নেতা ছিল আৰু সুফিয়ান। তার পুরো নাম ছিল সাথর ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া। বনু উমাইয়া ছিল বনু আবদ শামসের উপগোত্র, এটি ছিল বনু আবদ মানাফের একটি উপগোত্র। আবার বনু হাশিমও এসেছে বনু আবদ মানাফ ও বনু আবদ শামস থেকে। সেই হিসেবে বনু হাশিম ও বনু উমাইয়া ছিল একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গোত্র।
আবু সুফিয়ান সাখর ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া | খন্দকের (আহজাবের) যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আবু সুফিয়ানের বয়স ছিল নবিজির (সা) চেয়ে ১০ বছর বেশি। নবিজির (সা) প্রতি তার শত্রুতার মধ্যেও এক ধরনের আভিজাত্য ছিল। শত্রু হলেও সে আবু জেহেল, উমাইয়া ইবনে খালাফ, উকবা প্রমুখের মতো নোংরা কোনো কৌশল কখনও অবলম্বন করেনি। বদরের যুদ্ধে অনেক নেতা মারা যাওয়ার পর আবু সুফিয়ানই ছিল কুরাইশদের মধ্যে প্রবীণতম ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই সে কুরাইশদের একক নেতা বনে যায়। তা ছাড়া তার রক্তের মধ্যেও নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল। তার পুত্র মুয়াবিয়া পরবর্তী সময়ে ইসলামের প্রথম রাজা হিসেবে উমাইয়া বংশের গোড়াপত্তন করবেন।
মুসলিমদের কৌশলগত পরিকল্পনা
যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা ছিল, মুসলিমরা এমন জায়গায় শিবির স্থাপন করবেন, যাতে করে সদ্য খনন করা পরিখা বা খন্দক তাঁদের সামনের দিকে থাকে আর সিলা পর্বতটি থাকে তাঁদের পেছনের দিকে। সেই হিসেবে মদিনা শহর তাঁদের পেছনের দিকে ছিল ।

আহজাবের নেতৃস্থানীয় দল ও নেতারা
ইবনে সাদ বর্ণনা করেছেন, খন্দকের যুদ্ধে কুরাইশদের প্রায় চার হাজার লোক অংশ নিয়েছিল। তাদের সঙ্গে ছিল ৩০০টি ঘোড়া ও ১৫০টি উট। কুরাইশদের ইতিহাসে তখন পর্যন্ত এটিই ছিল সবচেয়ে বড় লোকবলের সমাহার। অন্য উপজাতিগুলো থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ ছিল। যেমন, বনু সুলায়েমের ৭০০, বনু ফিজারার এক হাজার, বনু আশজার ৪০০, বনু মুররাহর ৪০০, বনু আসাদের ৭০০, ইত্যাদি।

এতগুলো দল একসঙ্গে জোট বাঁধার কারণেই এই যুদ্ধকে আহজাবের (জোট) যুদ্ধও বলা হয়। কুরাইশদের দলটি সবচেয়ে বড় বলে স্বাভাবিকভাবে তাদেরই প্রাধান্য ছিল। তবে সেখানে কোনো একক নেতা ছিল না, আর সে কারণেই তাদের বিপর্যয় ঘটেছিল। আমরা এখন আহজাবের কয়েকজন নেতা সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করব।
আরও পড়ুনঃ
