স্যাটানিক ভার্সেস ভূমিকা | স্যাটানিক ভার্সেস-এর ঘটনা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন, ১৫ জন মুসলিম মক্কা থেকে আবিসিনিয়ায় হিজরত করার মাত্র তিন মাসের। মধ্যেই সবাই মক্কায় ফিরে এসেছিলেন। কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁদের মন পরিবর্তন হয়েছিল? এ ব্যাপারে যে বিখ্যাত ঘটনাটির কথা জানা যায়, তাকে কেউ কেউ ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বা শয়তানের পদাবলি বলে আখ্যায়িত করেছে। “কুরাইশরা ইসলাম গ্রহণ করেছে’ – আবিসিনিয়ায় এই গুজব ছড়িয়ে পড়লে তা শুনে মুসলিমরা মক্কায় ফিরে আসে।

স্যাটানিক ভার্সেস ভূমিকা | স্যাটানিক ভার্সেস-এর ঘটনা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোথাও অভিবাসী হয়ে যাওয়ার পর সবচেয়ে কঠিন সময়টি হলো প্রথম কয়েক মাস, যখন আপনার কোনো বাড়িঘর নেই, আপনার তখনও কোনো বন্ধু হয়ে ওঠেনি, এবং নতুন জায়গায় সবকিছুর বন্দোবস্ত করে উঠতে পারেননি। নতুন জায়গা তখনও আপনার কাছে পরিচিত পরিমণ্ডল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানকার ভাষা ও সংস্কৃতি ভিন্ন। এটি সত্যিই খুব কঠিন সময়।

কুরাইশদের ইসলাম গ্রহণ করার খবরটি ছিল প্রকৃতপক্ষে একটি গুজব। কিন্তু তা শোনার সাথে সাথেই আবিসিনিয়ার মুসলিমরা তা বিশ্বাস করেছিলেন। আসলে তাঁদের হৃদয় সব সময়ই মক্কায় ফিরে যেতে আগ্রহী ছিল। তাঁদের কাছে খবরের সত্যতা যাচাই করার কোনো উপায় না থাকায় তাঁরা আবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মক্কায় যাওয়ার পথে তাঁরা আবিষ্কার করেন যে খবরটি সঠিক ছিল না। স্যাটানিক ভার্সেসই ছিল ওই গুজবের ভিত্তি।

স্যাটানিক ভার্সেসের ঘটনাটি সত্য কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে। ঘটনাটির তিনটি ভিন্ন রকমের ভাষ্য নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব।
আরো পড়ূনঃ
