হুদায়বিয়ার ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১, আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি সিরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হুদায়বিয়ার সন্ধি বা চুক্তি নিয়ে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মক্কা বিজয়ের পটভূমি তৈরি হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানের নিম্নোক্ত আয়াতে এটিকে একটি ‘সুস্পষ্ট বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন:
“(হে নবি!) নিশ্চয়ই আমি তোমাকে এক সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি।” [সুরা ফাতহ, ৪৮:১]
হুদায়বিয়ার ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আমরা মুসলিমরা যারা পশ্চিমা দেশে বসবাস করি তাদের জন্য হুদায়বিয়ার সন্ধি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই চুক্তিটি থেকে আমরা দেখতে পাই যে, কখনও কখনও অন্যদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক সন্ধি/চুক্তির কারণে তাদের কিছু অন্যায় নীতিও মেনে নিতে হয়; আমরা তখন শুধু আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে পারি।

কখনও কখনও অত্যাচারীর কাছ থেকে রেহাই পেতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না। তবে কখন কী করতে হবে সে বিষয়ে সেই সময়ের এবং সেই স্থানের পণ্ডিতেরা বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন । ‘সন্ধি (চুক্তি)’ না ‘গাজওয়া (যুদ্ধ অভিযান)’? এই ঘটনাকে আমরা কী বলব? পরবর্তী যুগের অধিকাংশ লেখক এটিকে সন্ধি/চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সাহাবিরা এটিকে গাজওয়া বলে উল্লেখ করেছেন। যেখানে কোনো যুদ্ধই সংঘটিত হয়নি, সেখানে কেন এটিকে গাজওয়া বলা হয়েছে? কারণগুলো হলো:

১. যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি বটে, কিন্তু সাহাবিরা যুদ্ধের খুব কাছাকাছি পরিস্থিতিতে পৌঁছেছিলেন। উসমান ইবনে আফফান (রা) কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর মুসলিমরা লড়াই করার জন্য দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ হয়েছিলেন।
২. এই ঘটনা রাজনৈতিকভাবে এত বেশি তাৎপর্যপূর্ণ যে, এটিকে শুধু হুদায়বিয়ার ঘটনা’ বললে খুব কম বলা হয় ।
৩. পবিত্র কোরানে এটিকে ‘ফাতহ’ বা বিজয় বলা হয়েছে [৪৮:১] ।
আরও পড়ুনঃ
