সালাতুল খাওফের বিধান | খন্দক ও হুদায়বিয়ার মাঝে ছোট ছোট অভিযান, মুসলিমরা আক্রমণের আশঙ্কায় বনু লাহিয়ানের লোকেরা কুরাইশদের কাছে সাহায্য চেয়ে একজন দূত পাঠিয়েছিল। কুরাইশরা তাতে সাড়া দিয়ে খালিদ ইবনে ওয়ালিদের নেতৃত্বে একটি ছোট বাহিনী পাঠায়। খালিদ মুসলিমদের শিবিরের সামনে একটি শিবির স্থাপন করে। অর্থাৎ মুসলিম বাহিনী ও খালিদের নেতৃত্বে কুরাইশ বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নেয় ।
সালাতুল খাওফের বিধান | খন্দক ও হুদায়বিয়ার মাঝে ছোট ছোট অভিযান | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

সেদিন জোহরের সময় সব মুসলিম জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়িয়েছেন। বোধগম্য কারণে ধরে নেওয়া যায়, তাঁরা নামাজের সময় নিরস্ত্র ছিলেন, কারণ নামাজে দাড়ানোর আগে প্রত্যেকেই ঢাল-তলোয়ার ও বর্মগুলো খুলে রেখেছেন। তাদের এই অবস্থায় দেখে কুরাইশদের একজন খালিদকে বলে, “ওরা (মুসলিমরা) যদি আবার এই কাজ করার (অর্থাৎ নিরস্ত্র হয়ে নামাজ পড়তে) জন্য দাঁড়ায়, তাহলে তা হবে ওদের আক্রমণ করার উপযুক্ত সময়।”

খালিদ বলল, “নিশ্চয়ই। ওদের আরেকটা নামাজের (আসরের) সময় আসছে।” কিন্তু জোহর ও আসরের মধ্যবর্তী ওই সময়েই আল্লাহ জিব্রাইলকে (রা) পাঠিয়ে দিয়ে এই আয়াত নাজিল করেন “আর তুমি যখন তাদের (মুসলিমদের) মধ্যে অবস্থান করবে এবং (যুদ্ধাবস্থায়) তাদের নিয়ে নামাজ পড়বে তখন যেন তাদের একদল তোমার সঙ্গে (নামাজে) দাঁড়ায়, আর তারা যেন সশস্ত্র থাকে।

তাদের সেজদা শেষ হলে তারা যেন তোমাদের পাহারায় নিযুক্ত হয়; তখন অপর দলটি যারা তখনও নামাজ পড়েনি তারা এসে তোমার সাথে নামাজে যোগদান করবে; আর তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফেররা তো এই (সুযোগই) চায়, যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও আর তারা তোমাদের ওপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। অবশ্য তোমাদের কোনো দোষ নেই যদি বৃষ্টিবাদলের জন্য তোমাদের কষ্ট হয় কিংবা তোমরা অসুস্থ হও, তাহলে তোমরা অস্ত্র রেখে দিতে পার; কিন্তু তোমরা নিজেদের সাবধানতা বজায় রাখবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের জন্য অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।” [সুরা নিসা, ৪: 102 ]
আরও পড়ুনঃ
