মুসলিমদের যুদ্ধের প্রস্তুতি | বদরের যুদ্ধ-৩, নবি করিম (সা) যখন বুঝতে পারলেন যে, সাহাবিরা সবাই কুরাইশ বাহিনীকে মোকাবেলা করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তখন তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করলেন। তিনি মুসলিম বাহিনীকে তিনটি ভাগে ভাগ করলেন। এখানে উল্লেখ্য, নবিজি (সা) প্রতিটি যুদ্ধে বিভিন্ন রকমের পতাকা ব্যবহার করতেন; সাদা, কালো অথবা অন্য কোনো রঙের। বদরের যুদ্ধে তিনি মুসআব ইবনে উমায়েরকে প্রথমে যে পতাকাটি দিয়েছিলেন তা ছিল সাদা রঙের।
তিনি ডান দিকে রেখেছিলেন আলি ইবনে আবি তালিবের (রা) নেতৃত্বে সব মুহাজিরকে। আর বাম দিকে রেখেছিলেন সাদ ইবনে মুআদের নেতৃত্বে সব আনসারকে। এক বর্ণনা অনুসারে, নবিজি (সা) ব্যাকআপ’ হিসেবেও একটি দলকে রেখেছিলেন। কায়েস ইবনে আবি সাসা’র অধীনে এই দলটি ছিল সম্ভবত শক্তিবৃদ্ধির জন্য । তবে ডান ও বামদিকের দলগুলোই ছিল মূল দুটি দল।

মুসলিমদের যুদ্ধের প্রস্তুতি | বদরের যুদ্ধ-৩ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
নবিজির (সা) দলগঠন থেকে তিনটি শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুহাজির ও আনসারদের দুই দলে ভাগ করে দেওয়া থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, ইসলামে সাংস্কৃতিক ও জাতিগত পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া হয়।
নবিজি (সা) তাঁদের আলাদাভাবে ভাগ করেছিলেন, কারণ আনসাররা আনসারদেরকে এবং মুহাজিররা মুহাজিরদেরকে ভালো করে জানতেন। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁরা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ভেতরেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। আমাদের সময়ে কিছু মুসলিম সাংস্কৃতিক পার্থক্য সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করতে চান, যা একদমই ঠিক নয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন:
“হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার।” [সুরা হুজুরাত, ৪৯:১৩] এখানে আল্লাহ বলছেন, তিনি আমাদের বিভিন্ন জাতিতে পরিণত করেছেন যাতে আমরা একে অপরকে জানতে পারি। অন্য কথায়, আমরা সবাই যদি এক রকম হয়ে যাই তাহলে কীভাবে কাউকে আলাদাভাবে চেনা যাবে? প্রকৃতির মাঝেও আমরা এই বিষয়টি দেখতে পাই। এক জাতীয় পাখিরা একই সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে বাতাসে ওড়ে, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ নিজেদের মধ্যে সামাজিকভাবে মেলামেশা করে, এখানে অনৈসলামিক কিছু নেই।
২. নেতৃত্বের জন্য কাউকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকেই বেছে নেওয়া উচিত। নবি করিম (সা) দলগুলোর নেতৃত্ব তুলে দিচ্ছেন আলি ও সাদের মতো অপেক্ষাকৃত তরুণ, গতিশীল ও দূরদর্শী ব্যক্তিদের হাতে। তা ছাড়া তাঁরা উভয়েই ছিলেন সমাজের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি। এখানে নবিজি (সা) নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অখ্যাত ব্যক্তিদের বেছে নেননি। তিনি তাঁদেরকেই বেছে নিয়েছিলেন যাঁরা নিজ নিজ সমাজে অবিসংবাদিতভাবে গ্রহণযোগ্য, যাঁদেরকে সবাই সম্মান করে ।
আমরা জানি, আলি ইবনে আবি তালিব ছিলেন কুরাইশদের কিংবদন্তি আবদুল মুত্তালিবের পৌত্র। মক্কার সমাজে সবাই তাঁকে ভালবাসত। একইভাবে, সাদ ইবনে মুআদ ছিলেন আনসারদের ভবিষ্যৎ নেতা।
৩. নবি করিম (সা) পতাকা বহনকারী হিসেবে মুসআব ইবনে উমায়েরকে বেছে নিয়েছিলেন, যাঁর ওপর আনসার ও মুহাজির, দুই শ্রেণিরই আস্থা ছিল। মুসআব ছিলেন একজন মুহাজির ও কুরাইশ। তিনি মদিনায় হিজরতকারীদের মধ্যে প্রথম দিকে ছিলেন। আনসারদের মধ্যেও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়, কারণ বেশিরভাগ আনসারই তাঁর হাতে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। সুতরাং বলা যেতে পারে, তিনি মুহাজিরদের মধ্যে সর্বাধিক ‘মাদানি’ (মদিনার লোক) ছিলেন।
[পতাকা বহনকারী সম্পর্কে: কোনো যুদ্ধে পতাকা বহনকারীর অন্যতম প্রধান ভূমিকা হলো নিজ সৈন্যবাহিনীকে চিহ্নিত করা এবং সংগঠিত করা। নিঃসন্দেহে এটি একটি সম্মানজনক দায়িত্ব। কিন্তু দায়িত্বটি পালন করাও খুব বিপজ্জনক, কারণ পতাকা বহনকারী সর্বদাই শত্রুবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে থাকে । শত্রুপক্ষ পতাকার পতন ঘটাতে চায়। পতাকার পতন শত্রুকে উৎসাহ দেয়, তাদের মনোবল বাড়ায়। এ ছাড়া লক্ষ করুন, পতাকা বহনকারী ব্যক্তিটি পূর্ণশক্তি নিয়ে যুদ্ধ করতে পারে না, তার এক হাতে পতাকা থাকার কারণে সেই হাত দিয়ে সে আর কিছু করতে পারে না। ফলে তার পক্ষে সহযোদ্ধাদের মতো একই রকম সক্ষমতা নিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব হয় না।]
কুরাইশদের বদরে পৌঁছানোর একদিন আগেই নবিজি (সা) মুসলিম বাহিনী নিয়ে বদরের সমভূমিতে পৌঁছে গেলেন। তারিখটি ছিল ২য় হিজরি সালের ১৬ই রমজান। কালবিলম্ব না করে প্রথমেই তিনি সমভূমির বাইরের দিকটায় শিবির ও তাঁবু স্থাপন করলেন। শিবির স্থাপনের আগে আগে আল-হুবাব ইবনুল মুনজির নামের এক সাহাবি নবিজিকে (সা) জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রসুল, আপনি ঠিক যে জায়গাটিতে শিবির স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা কি আল্লাহ আপনাকে বলেছেন? সেখান থেকে কি এক ইঞ্চি পরিমাণও আগে বা পিছে করা সম্ভব নয়? নাকি যুদ্ধ কৌশল হিসেবে এটি আপনার নিজস্ব বিবেচনাপ্রসূত?”
জবাবে নবিজি (সা) বললেন, “না, এটি আমার নিজস্ব কৌশল।” তখন আল-হুবাব বললেন, “হে আল্লাহর রসুল, সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি, আমরা সমভূমির এক কোণে শিবির স্থাপন না করে বরং একটুখানি এগিয়ে গিয়ে মাঝামাঝি কোনো একটি স্থানে তা করি। তা হলে বদরের কূপগুলো আমাদের পেছনের দিকে থাকবে, তাতে আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পানির সংস্থান থাকবে। অন্যদিকে শত্রুপক্ষকে নিজেদের জগ বা বালতিতে রাখা পানির ওপরই নির্ভর করতে হবে।”
মূল যুক্তিটি হলো, প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানির সংস্থান না থাকাটা শত্রুপক্ষের জন্য হতাশার কারণ হবে। নবি করিম (সা) এই পরামর্শ গ্রহণ করে বলেন, “তুমি আমাদের আরও ভালো ও যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছ।” এক বর্ণনায় আছে, ফেরেশতা জিব্রাইল (আ) এসে নবিজিকে (সা) বলেছিলেন, “আল-হুবাবের পরামর্শ অনুসরণ করুন।” সুতরাং তিনি মুসলিম বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে এমন স্থানে শিবিরটি স্থাপন করলেন যেন শত্রুপক্ষ সামনে থেকে কূপের নাগাল না পায়।
তিনি আরও যে কাজটি করলেন তা হলো, আশেপাশের ছোট ছোট কূপগুলো থেকে পানি তুলে নিয়ে বড় কূপের মধ্যে ফেললেন, যা অবস্থিত ছিল মুসলিম শিবিরের ঠিক মাঝখানে। নবিজি (সা) যে সাহাবিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন, এই ঘটনাটি তার একটি উদাহরণ। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি সাহাবিদের মত মেনে নিয়ে নিজের মত পরিবর্তন করেছেন।

আনুষঙ্গিক বিষয়: নবিজি (সা) কি কখনও কখনও নিজের ইজতিহাদ করতেন?
এটি ‘উসুল আল ফিকহের’ (ফিকহ শাস্ত্রের) খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়: নবি করিম (সা) কি কখনও কখনও আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে নির্দেশনা অথবা অনুমোদন না নিয়েই তাঁর নিজের মত বা বিবেচনা থেকে কাজ করেছেন? আল- হুবাবের এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে তিনি তা করেছেন। সত্য ঘটনা মেনে নিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সমস্যা হয় তখনই, যখন কেউ কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনাকে সাধারণ নিয়ম হিসেবে ব্যবহার করে। এটি অনেকটা এরকমভাবে বলা: দেখুন, আমরা এই ঘটনায় দেখতে পাচ্ছি, নবিজি (সা) মাঝে মাঝে নিজের মত বা বিবেচনা থেকে কাজ করেছিলেন। তাই আসুন আমরা তাঁর পুরো জীবনযাপন বিশ্লেষণ করে বের করার চেষ্টা করি তিনি যা করতেন তার কোনটি ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে আর কোনটি আল্লাহর পক্ষ থেকে। বিষয়টি এভাবে দেখা ঠিক নয়।
বদরের ঘটনাটি ব্যবহার করে আমরা শরিয়ার বিধান তৈরি করতে পারি না। বদরের এই ঘটনা যুদ্ধের একটি বিশেষ কৌশল। বদরের যুদ্ধে নবিজি (সা) কোন স্থানে শিবির স্থাপন করেছেন, তা ব্যবহার করে শরিয়ার বিধান তৈরি করার দরকার নেই। কারণ বদরের যুদ্ধ কেবল একবারের জন্যই সংঘটিত হয়েছিল, প্রতিবছর একবার করে বদরের যুদ্ধ হয় না। নবিজি (সা) যখন বদরের ভূমিতে শিবির স্থাপন করেন, তখন সেখানকার ঠিক কোন অবস্থানে শিবির স্থাপন করবেন তা নিয়ে আইন বা বিধান তৈরি করার কোনো অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। অন্যদিকে তিনি যখন উত্তরাধিকার, বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে, নামাজ, রোজা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো বিধান প্রদান করেন, তখন তিনি আশা করেন যে মুসলিমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেগুলো অনুসরণ করবে।

আবার কখনও কখনও সাহাবিরা নবি করিমকে (সা) জিজ্ঞেস করতেন, “আপনি কি আমাদের হুকুম দিচ্ছেন, না এটি একটি পরামর্শ।” তবে এরকম ঘটনা খুব বিরল। সাহাবিরা সাধারণত শুনতেন ও মানতেন। এমন কয়েক ডজন উদাহরণ আছে যেখানে সাহাবিরা কিছু শুনতে পেলে তা আক্ষরিকভাবে প্রয়োগ করেছেন, যা কখনও কখনও অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে । যেমন:
১. একবার এক অভিযানের সময় নবিজি (সা) সাহাবিদের নির্দেশ দেন কেউ যেন তাঁর তাঁবুতে প্রবেশ না করে। সাহাবিদের মধ্যে একজনের নবিজির (সা) সঙ্গে দেখা করার জরুরি প্রয়োজন ছিল। তিনি দরজার বাইরে থেকে অনুমতি চাইলেন, “হে আল্লাহর রসুল, আমি কি তাঁবুর ভেতরে প্রবেশ করতে পারি? আপনাকে একটা কথা বলা দরকার।” অনুমতি পাওয়ার পরই সাহাবির মনে পড়ল ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে নবিজির (সা) নিষেধ আছে। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রসুল, আমি কি আমার পুরো শরীর নিয়ে না কি শরীরের কিছু অংশ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারব?” আসলে তিনি বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন, কারণ তিনি নবিজির (সা) আদেশ আমান্য করতে চান না ।
২. আরেকবার নবিজি (সা) খুতবা দিচ্ছিলেন, তিনি একটি শব্দ উচ্চারণ করলেন: ‘থামো’। সেই সময় এক সাহাবি দরজা দিয়ে গমন করছিলেন, তিনি ‘থামো’ কথাটির প্রসঙ্গটি বুঝতে না পেরে আক্ষরিক অর্থেই এক পা উপরে থাকা অবস্থায় দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে পড়েন।
৩. খায়বারের যুদ্ধের সময় নবি করিম (সা) আলি ইবনে আবি তালিবকে
বলেন, “এগিয়ে যাও। যুদ্ধে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত ফিরে এসো না।” আলি সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে দশ কদম যাওয়ার পর তাঁর নবিজিকে (সা) কিছু জিজ্ঞেস করার কথা মনে হয়। তিনি ঘুরে দাঁড়াতে চলেছিলেন, কিন্তু তখনই তাঁর নবিজির (সা) কথাটি মনে পড়ে যায়। যুদ্ধে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত ফিরে এসো না। তাই তিনি ঘুরে দাঁড়ালেন না, বরং উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল, আমি তাদের কী বলব?…।” তিনি নবিজির (সা) কথাটি এতটাই আক্ষরিক অর্থে নিয়েছিলেন যে এমনকি তিনি ঘুরেও তাকাননি ।
এরকম শত শত উদাহরণ রয়েছে। তবে হাতেগোনা একটি বা দুটি উদাহরণ রয়েছে যেখানে একজন সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এটি কি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো ওহি না এটি কেবল একটি পরামর্শ?’ আল-হুবাবের ঘটনাটি সেরকমই একটি।
এরকম আরেকটি হলো বারিরাহর ঘটনা। বারিরাহ ছিল একজন ক্রীতদাস যার বিয়ে হয়েছিল আরেকজন ক্রীতদাসের সাথে। এক সময় সে দাসত্ব থেকে মুক্তি পায়। ইসলামি ফিকহ অনুসারে, দুজন ক্রীতদাসের মধ্যে একজন মুক্তি পেলে তাদের আগের বৈবাহিক সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা হবে কি না তা পুরোটাই নির্ভর করে ওই মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর। এ ক্ষেত্রে বারিরাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর স্বামী মুগিস এই সিদ্ধান্তে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং শহরময় তাঁর পেছনে ঘুরে অনুনয় করে বলতে থাকেন, “দয়া করে আমাকে ফিরিয়ে নাও।” কিন্তু বারিরাহ তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ।
ইবনে আব্বাস বলেন, “আমি দেখেছি মুগিসের দাড়ি অশ্রুতে ভিজে গেছে, আর সে কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ‘ও বারিরাহ! ও বারিরাহ! নবিজি (সা) এই দুজনকে রাস্তায় এভাবে দেখে বারিরাহকে বললেন, “তাঁকে কেন ফিরিয়ে নিচ্ছ না?” বারিরাহ। হে আল্লাহর রসুল, আপনি কি আমাকে আদেশ দিচ্ছেন? না এটি কেবলই আপনার পক্ষ থেকে একটি পরামর্শ? নবিজি (সা): না, আমি কেবল তোমাদের মধ্যে মিটমাট করার চেষ্টা করছি (অর্থাৎ এটি কেবলই একটি পরামর্শ)। বারিরাহ: তাকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই ।
আরও পড়ুনঃ
