মুসলিম বাহিনীর খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

মুসলিম বাহিনীর খবর | বদরের যুদ্ধ-২, মুসলিম বাহিনী যখন মদিনা ত্যাগ করে, তখন তাদের বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। যে কুরাইশদের কোনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হবে। তাঁরা ভেবেছিল, তাদের ৩১৫ জনের বাহিনী খুব সহজেই দ্রুত ৪০ জনের রক্ষীকে পরাভূত করে কাফেলাটি আয়ত্তে নিতে পারবে। কিন্তু কানাঘুষা শোনা যেতে  লাগল যে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কুরাইশদের একটি বাহিনী মক্কা ছেড়েছে।

মুসলিম বাহিনীর খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

নবি করিম (সা) অতীতের কোনো এক সময়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন যে তিনি একটি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করবেন। তিনি আশা করছিলেন স্বপ্নটি পরবর্তী কোনো একটি সময়ে বাস্তবে ঘটবে। যখন কুরাইশ বাহিনীর আগমনের খবর করলেন, আসতে শুরু করল, তখন নবিজি (সা) ভাবতে শুরু করলেন যে সম্ভবত এই অভিযানের মধ্যেই স্বপ্নটি বাস্তবে রূপ নেবে। তিনি মুসলিমদের জিজ্ঞেস “তোমরা এ ব্যাপারে কী মনে কর, যদি কাফেলার পরিবর্তে আমরা মক্কা থেকে আগত এমন একটি দলের সম্মুখীন হই যারা ইতিমধ্যে মদিনা থেকে তোমাদের এই অভিযানে বের হওয়ার খবর পেয়ে গেছে (অর্থাৎ এমন একটি দল আসছে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত)?” কিছু সাহাবি উত্তরে বললেন, “হে আল্লাহর রসুল, আমাদের তো কোনো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নেই। আমরা শুধু কাফেলাটিকে আক্রমণ করতে এসেছি।”

পরের দিন নবিজি (সা) ওই একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলেন এবং সাহাবিরা আরও দৃঢ়ভাবে বললেন যে তাঁরা কোনো সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত নন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কোরানে এই ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন: “যেমনটা তোমার প্রতিপালক ন্যায়ের জন্য তোমাকে ঘর থেকে বের করেছিলেন অথচ মুমিনদের একদল তা পছন্দ করেনি। সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তারা তোমার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়; মনে হচ্ছিল যেন তারা মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে আর তারা তা প্রত্যক্ষ করছে।”

[সুরা আনআম, ৮:৫-৬] আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন: “আল্লাহ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, দুই দলের এক দল তোমাদের আয়ত্তে আসবে। অথচ তোমরা চাচ্ছিলে যে, নিরস্ত্র দলটি তোমাদের আয়ত্তে আসুক, আর আল্লাহ চাচ্ছিলেন সত্যকে তাঁর বাণী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে আর অবিশ্বাসীদেরকে নির্মূল করতে।” [সুরা আনআম, ৮:৭] এই পর্যায়ে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে নবিজি (সা) নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি সাহাবিদের বলেন, “শেষ পর্যন্ত যদি ওই বাহিনীর সাথে আমাদের দেখা হয়েও যায়, আল্লাহ আমাদের বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” অর্থাৎ ‘চিন্তা করো না।

 

মুসলিম বাহিনীর খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

কিন্তু মানুষের মন তো দুর্বল। তাঁরা আবারও বললেন, “আমরা একদমই প্রস্তুত নই। আমরা একটা পুরোদস্তুর সেনাবাহিনীর সাথে কীভাবে যুদ্ধ করব? আমাদের না আছে বর্ম, না আছে খাদ্য, না আছে সরবরাহ। আমাদের কাছে তো  কিছুই নেই। আমরা তো আশা করে বসে আছি যে, পুরো অভিযানটি (সহজেই ) শেষ করে আমরা দুই দিনের মধ্যেই মদিনায় ফিরে যাব।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করার পরও যে তাঁরা নবিজির (সা) সঙ্গে বিতর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন তা আল্লাহ তায়ালা কোরানে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা বলবৎ রাখতে চেয়েছিলেন।

সেটিই তিনি উপরে উল্লিখিত আয়াতে বোঝাতে চেয়েছেন: অর্থাৎ মুসলিমরা নিরস্ত্র দলটিকে মোকাবেলা করতে চাইলেও আল্লাহ চেয়েছিলেন সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে। এজন্যই বদরের দিনটিকে ‘ফুরকান’ বা নির্ণায়ক দিনও বলা হয়; এই দিনটিতেই আল্লাহ সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করেছেন । আল্লাহ দেখাতে চেয়েছেন, কে সত্যের ওপর আছে। আর তিনি

মিথ্যাকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন, “যদিও পাপীরা তা পছন্দ করে না’। [৮৮] সুরা আনফালের উপরে উল্লিখিত আয়াতগুলো [ ৮:৫-৮] থেকে আমরা একটি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেতে পারি: কেউ কোনো ভালো কাজ করতে গিয়ে ভয় কিংবা অন্য কোনো কারণে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়লেও তাকে মুনাফেক বলে গণ্য করা যাবে না, যদি সে শেষ পর্যন্ত তার ইমান অটুট থাকে।

যদিও সাহাবিদের প্রজন্ম ছিল সর্বোত্তম প্রজন্ম, তবু সর্বোপরি তাঁরাও তো মানুষ। মানুষ তো নিখুঁত হতে পারে না। সুতরাং তাঁদের যুক্তি উপস্থাপন (‘এটা করা আমাদের ঠিক হচ্ছে না, কুরাইশের সঙ্গে যুদ্ধে আমরা কোনোভাবেই পেরে উঠব না’ ইত্যাদি) কোনোভাবেই তাদের ইমানকে দুর্বল করে না। যদিও তাঁরা নবিজিকে (সা) যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করেছিলেন, তবু আল্লাহ তাদেরকে মৃদুভাবে তিরস্কার করলেও ‘মুমিন’ বলে অভিহিত করেছেন [৮৫]। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়। কারণ এ থেকে বোঝা যায়, মুমিন কখনও কখনও কিছুটা ভয় ও দ্বিধার মধ্যে পড়তে পারে।

ভালো কোনো কাজ করতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধার মধ্যে পড়া মুনাফেকি নয়। আল্লাহ কোরানে বলেছেন: “তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হলো, যদিও এ তোমাদের পছন্দ নয়।” [সুরা বাকারা, ২:২১৬] যা-ই হোক, মুসলিমরা বদরের দিকে যাত্রা করেছেন। কিন্তু কোন দলের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হবে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। এবার নবিজি (সা) আবু বকরকে (রা) সঙ্গে নিয়ে কুরাইশ বাহিনীর খোঁজখবর নিতে সশরীরে নেমে পড়লেন। এ থেকে আমরা পরিস্থিতির গুরুত্ব সহজেই অনুধাবন করতে পারি। পুরো সিরাহে এই একবারই নবিজি (সা) কারও ওপর ভরসা না করে নিজেই স্কাউটের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

 

bn.islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

খোঁজ করতে করতে নবিজি (সা) ও আবু বকর (রা) বদরের বাইরে চলে আসেন। সেখানে তাঁরা এক বৃদ্ধ বেদুইনের কাছ থেকে কিছু তথ্যের সন্ধান পান। বেদুইনরা ছিল নিরপেক্ষ, তারা কুরাইশ বা মদিনাবাসী কারও পক্ষেই ছিল  না। সুতরাং তথ্য পাওয়ার জন্য তারা উপযুক্ত সূত্র। নবিজি (সা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কুরাইশ ও মুহাম্মদের বাহিনী সম্পর্কে আপনার কাছে কি কোনো তথ্য আছে?” এখানে লক্ষণীয়, তিনি নিজের সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করছেন যাতে বেদুইনের মনে কোনোরূপ সন্দেহের উদ্রেক না হয়।

যদি তিনি কেবল কুরাইশ সম্পর্কেঃ জিজ্ঞাসা করেন, তবে অবশ্যই লোকেরা অনুমান করবে যে তিনি মুসলমানদের পক্ষে রয়েছেন। তবে ওই বেদুইনও বেশ বুদ্ধিমান ছিল। সে জিজ্ঞেস করল, “আপনি কে?” অর্থাৎ আপনি কোন পক্ষের তা না জানা পর্যন্ত আমি আপনাকে বলতে পারব না । নবিজি (সা) তো আর তাকে বলতে যাবেন না যে তিনি মুসলিম বাহিনীর নেতা। তাই তিনি বললেন, “আমরা কোথা থেকে এসেছি তা আমি আপনাকে অবশ্যই বলব বলে প্রতিজ্ঞা করছি। কিন্তু তার আগে আপনার কাছে থাকা খবর যদি আমাদের জানান।”

এ পর্যায়ে বেদুইনের ধারণা হলো, তারা যেহেতু তাদের পরিচয় আমার কাছে প্রকাশ করতে চাইছে, অতএব তারা অবশ্যই ওই দুই পক্ষের কেউ হবে না; নইলে তারা আমাকে বলতে চাইত না। সুতরাং বেদুইন বলল, “ঠিক আছে, আপনারা যেহেতু জানতে চেয়েছেন, আমার কাছে খবর আছে যে, মুহাম্মদ (সা) অমুক তারিখে ইয়াসরিব ছেড়ে এসেছে। এবং এই তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে তারা বদরের ঠিক বাইরে শিবির স্থাপন করেছে।” এই তথ্যটি পুরোপুরিই ঠিক ছিল। বেদুইনরা এভাবেই নিজেদের রুটিরুজির জন্য সব তথ্য নখদর্পণে রাখত। বেদুইন বলে চলল, “আমার কাছে আরও খবর পৌঁছেছে যে, কুরাইশ বাহিনী অমুক তারিখে মক্কা ছেড়েছে। এই তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে তারা অবশ্যই এতক্ষণে তমুক স্থানে অবস্থান করছে।” এই তথ্যটিও সঠিক।

এবার বেদুইন পাল্টা জিজ্ঞেস করল, “তাহলে বলুন, আপনি কোথা থেকে এসেছেন?” নবিজি (সা) জবাব দিলেন, “আমরা পানি থেকে এসেছি।” এ কথা বলেই তিনি এবং আবু বকর (রা) ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ‘আমরা পানি থেকে এসেছি’—এই কথাটি দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন? আসলে এটি ছিল একটি দ্ব্যর্থবোধক কথা। আরবিতে দ্ব্যর্থবোধক কথাকে বলা হয় ‘তাওরিয়া’।

এক্ষেত্রে আপনি সত্যকে মিথ্যা দিয়ে নয়, বরং অন্য একটি সত্য দিয়ে আড়াল করছেন। অর্থাৎ তাওরিয়া মিথ্যাকথন নয়। ইসলামে মিথ্যা কথা বলার সুযোগ নেই। যদিও তাওরিয়াকে আমাদের শরিয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবু এটি মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করলে মিথ্যা বলা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। সুতরাং শরিয়ায় তাওরিয়ার অনুমতি থাকলেও এর ব্যবহার সীমিত রাখাই বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ পবিত্র কোরানে বলেছেন, “প্রাণ আছে এরকম সবকিছুকে আমি পানি  থেকে সৃষ্টি করেছি।” | 21:30] সত্যিই তো, আমরা সবাই পানি থেকে এসেছি। সুতরাং নবিজি (সা) এখানে মিথ্যা কিছুই বলেননি।

 

মুসলিম বাহিনীর খবর | বদরের যুদ্ধ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

শিবিরে ফিরে এসে নবিজি (সা) কাউকে কিছু না বলে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। তিনি যখন নামাজ পড়ছিলেন, তখন বাইরে বেশ গোলমালের শব্দ শোনা যায়। কুরাইশদের বাহিনী থেকে আসা দুজন দাসকে সাহাবিরা আটক করেছিল। তাঁরা তাকে প্রশ্ন করে, “তোমরা কোথা থেকে এসেছ?” দাসরা বলে, “আমরা কুরাইশদের বাহিনী থেকে এসেছি।” সাহাবিরা দাসদের মারধর শুরু করেন, এবং বলেন, “না! তোমরা মিথ্যা কথা বলছ! তোমরা কুরাইশদের বাহিনীর অংশ নও। তোমরা আবু সুফিয়ানের কাফেলা থেকে এসেছ।”

লক্ষ করুন, সাহাবিরা কাফেলার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে এতটাই আগ্রহী ছিলেন যে, তাঁরা তাদের ওই মনোভাব দাসদের ওপরে চাপিয়ে দিচ্ছিলেন। মারধরের একপর্যায়ে দাসরা বলে ফেলে, “হ্যাঁ, কাফেলা থেকে। কাফেলা থেকে।” তার কিছুক্ষণ পরে তারা আবার বলে, “আসলে আমরা কুরাইশদের বাহিনী থেকে এসেছি।” সাহাবিরা আবার তাদেরকে মারধর করলে এক সময়ে তারা আবার বলে, “না, না। কাফেলা থেকে। কাফেলা থেকে ।”

বেশ কিছুক্ষণ ধরে এই নিয়ে গোলমাল চলছিল। নামাজ শেষ করে নবিজি (সা) সাহাবিদের বললেন, “ওরা যখন সত্য কথা বলে তখন তোমরা তাদের মারধর কর; আবার তারা মিথ্যা বললে তোমরা তাদের কিছু না করে চলে যেতে দাও। তোমরা এতটাই নির্বোধের মতো কাজ করছ! নিজেরা যা বিশ্বাস কর তা বলানোর জন্য তোমরা তাদের ওপর নির্যাতন কর; নির্যাতিত অবস্থায় মানুষ তো যে কোনো কিছুই বলতে পারে। এতে লাভ কী?” নবিজি (সা) দাসদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “আমাকে বলো, কুরাইশ বাহিনীতে কত লোক আছে?” তারা জবাব দিল, “আমরা তো দাস। আমরা এসব জানি না।”

আসলেই বেশিরভাগ দাস ছিল অশিক্ষিত। তারা সংখ্যা গণনা করতে পারত না। এবার নবিজি (সা) প্রশ্নটি পরিবর্তন করে জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা বলো তো, কুরাইশরা প্রতিদিন কতগুলো উট জবাই করে?” এই প্রশ্নের উত্তর তারা জানত, যেহেতু তাদের কাজই ছিল জবাই করা, রান্না করা ইত্যাদি। তারা জবাবে বলে, “৯ কিংবা ১০”। জবাব শুনে নবিজি (সা) তৎক্ষণাৎ সাহাবিদের বললেন, “তাদের (বাহিনীর সংখ্যা নয়শ থেকে এক হাজারের মধ্যে হবে।” তিনি এরপর জিজ্ঞেস করলেন, “কুরাইশদের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে কে কে এসেছে?”

উত্তরে দাসরা একের পর এক নাম বলতে শুরু করল: উমাইয়া ইবনে খালাফ, উতবা ইবনে রাবিয়া, শায়বা ইবনে রাবিয়া, আৰু জেহেল ইত্যাি ইত্যাদি ।

কুরাইশদের এই বিশাল বাহিনীর সংবাদে সাহাবিরা বেশ হতাশায় পড়েন। যেহেতু মক্কার সব হর্তাকর্তা যুদ্ধ করতে এসেছে, তাই ধরে নেওয়া যায় যে তাদের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ ও উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র থাকবে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই সাহাবিরা বেশ মুষড়ে পড়েন। এ মুহূর্তে তাঁরা ইমানের এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন।

নবি করিম (সা) সাহাবিদের মুখে হতাশার ছায়া দেখতে পেয়ে বললেন, “মক্কা তোমাদের সামনে তার সেরা ব্যক্তিদেরই মেলে ধরেছে। আল্লাহর কসম, (এই যুদ্ধে) উমাইয়া প্রাণ হারাবে, শায়বাহ প্রাণ হারাবে, উতবা প্রাণ হারাবে, আৰু জেহেল প্রাণ হারাবে, ইত্যাদি।” তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, কুরাইশদের প্রতিটি পরিবারের নেতারা মারা যাবে।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment