নামাজের প্রতি অসাধারণ ভালোবাসা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে, মুহাম্মাদ ছিলেন একজন আরবের ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি মতবাদ অনুসারে, তিনি হলেন ঐশ্বরিকভাবে প্রেরিত ইসলামের সর্বশেষ নবী (আরবি: النبي; আন-নাবিয়্যু) তথা ‘বার্তাবাহক’ ও রাসুল (আরবি: الرسول; আল-রাসুল), যার উপর ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হয়। আদম, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা (যিশু) এবং অন্যান্য নবিদের মতোই মুহাম্মদ একেশ্বরবাদী শিক্ষা প্রচার করার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন।
নামাজের প্রতি অসাধারণ ভালোবাসা | মহানবি মুহাম্মদের (সা) বিয়ে | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

গাতাফান উপজাতি আবার যাতে আক্রমণ না করে তা নিশ্চিত করতে আম্মার ইবনে ইয়াসির এবং আব্বাদ ইবনে বিশরকে রাতের বেলা মুসলিমদের বাহিনীকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । একদিন রাত ঘনিয়ে এলে আব্বাদ আম্মারকে বললেন, “আমি প্রথমে পাহারা দিচ্ছি, তারপর তুমি পাহারা দিও।” তারপর আম্মার ঘুমাতে গেলেন।

একপর্যায়ে আব্বাদ নামাজ পড়তে দাঁড়ালে গাতাফানের একজন মুশরিক তাঁর দিকে তির নিক্ষেপ করে; তিরটি আব্বাদের শরীরে বিধলে তিনি তা টেনে বের করে নামাজ চালিয়ে গেলেন। তারপর আরও একটি তির এসে তার পায়ে বিধলে তিনি সেটাও টেনে বের করলেন এবং নামাজ চালিয়ে গেলেন। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন, তখন তিনি আম্মারকে জাগিয়ে তুললেন।

আম্মার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি নামাজ ভাঙলে না কেন?” জবাবে আব্বাদ বললেন, “আমি একটি সুরা তেলাওয়াত করছিলাম যা (শেষ করার আগে) নামাজ ভাঙতে চাইনি।” জানা যায়, আব্বাদ তখন সুরা ইউসুফ তেলাওয়াত করছিলেন। তেলাওয়াতের মধুরতায় তিনি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। আব্বাদের ভাষায়, “আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি, যদি নবিজির (সা) দেওয়া দায়িত্ব পালনে আমার ব্যর্থ হওয়ার প্রশ্ন না থাকত, তবুও আমি নামাজ ভাঙার চেয়ে বরং মৃত্যুই বেছে নিতাম!”
আরও পড়ুনঃ
