আল্লাহ তায়ালা নবিজিকে সা তিরস্কার করেন | ওহুদের যুদ্ধ-৪, সহিহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, আহত হওয়ার পর নবি করিম (সা) দুঃখ করে বলেছিলেন, “একটি জাতি কীভাবে সফল হবে যখন তারা নিজের নবিকে আহত করতে পারে।”
আল্লাহ তায়ালা নবিজিকে সা তিরস্কার করেন | ওহুদের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

অন্য একটি ভাষ্য অনুসারে তিনি বলেন, “তারা কীভাবে আল্লাহর ক্ষমা আশা করে যখন তারা তাদের নবির প্রতি এমন আচরণ করে, যে কিনা তাদের ইসলামের পথে আসার জন্য আহ্বান করছে।” নবিজির (সা) এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ পরবর্তী সময়ে কোরানে আয়াত নাজিল করেন: “তিনি তাদের ক্ষমা করবেন, না শাস্তি দেবেন, সে ব্যাপারে তোমার কিছু করার নেই; কারণ তারা তো সীমালঙ্ঘনকারী।” [সুরা আল ইমরান, ৩: ১২৮]
অর্থাৎ এটা তোমার বিষয় নয়; অথবা এটা তোমার সিদ্ধান্তের ব্যাপার না; অথবা কাকে ক্ষমা করা হবে আর কাকে শাস্তি দেওয়া হবে তা তোমাকে বলে দিতে হবে না। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবিজির (সা) প্রতি এই কথাটি ছিল কঠোর ও স্পষ্ট। এই আয়াতে ব্যবহৃত আরবি শব্দ ‘শাই’-এর আভিধানিক অর্থ ‘কিছু নয়’। ‘এটা ঠিক যে তারা তোমার প্রতি অন্যায় করেছে, কিন্তু তুমি বলতে পার না যে তাদের ক্ষমা করা যাবে না।’

বান্দাদের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী মহানবি মুহাম্মদকে (সা) পর্যন্ত নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের কোনো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আল্লাহ পবিত্র কোরানের মাধ্যমে তাঁর রসুলকে (সা) বলেছেন: “তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাবনিকাশ তো আমার কাজ।” [সুরা রাদ, ১0:40] আমাদের যুগে এমন কিছু লোক আছে, যারা বিশ্বাস করে নবিজি (সা) সিদ্ধান্ত নেবেন কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে।

আকিদার দিকে থেকে এর চেয়ে বড় ভুল আর কী হতে পারে! নবিজি (সা) যে রক্তমাংসেরই মানুষ এবং তাঁরও যে সবার মতো মানবিক বৈশিষ্ট্য ছিল, এই ঘটনায় আমরা তা দেখতে পাই। তিনিও কষ্ট পেতেন, তিনি উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলতেন। তবে বলা হয়, এই আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর নবিজি (সা) দোয়া করেছিলেন: “হে আল্লাহ, আমার সম্প্রদায়কে ক্ষমা করুন, কারণ তারা জানে না। ”
আরও পড়ুনঃ
