নতুন ধারণাকে গ্রহণ | খন্দকের যুদ্ধ-১ | মহানবী হযরত-মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন, আকিদা ও ধর্মীয় আচারের ক্ষেত্রে নতুন কিছু উদ্ভাবন হারাম; কিন্তু মানুষের কল্যাণের জন্য নতুন কোনো ধারণা বা প্রযুক্তিগত কোনো উদ্ভাবন ইসলাম খোলা মনে গ্রহণ করে । পরিখা খননের কৌশল ছাড়াও নবিজি (সা) অন্যদের রীতিনীতি থেকে জ্ঞান নিয়েছিলেন এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে।

তিনি বলেছিলেন, “শিশু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়কালে (অর্থাৎ প্রসবের পরে আনুমানিক এক বছর) স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক মিলন আমি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি দেখলাম, রোমান ও পার্সিয়ানরা তা করে, কিন্তু তাতে তাদের শিশুদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। সুতরাং (আমি অনুমতি দিচ্ছি যে) তোমরাও তা করতে পার।” এই সিদ্ধান্তের মধ্যে জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান নিহিত আছে। আমরা অন্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকেও বিভিন্ন বিষয় শিখতে পারি, যতক্ষণ না তা আমাদের শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়।

নতুন ধারণাকে গ্রহণ | খন্দকের যুদ্ধ-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
এর বাইরেও নবিজি (সা) সমসাময়িক বিশ্বে প্রচলিত অনেক সাংস্কৃতিক রীতিনীতি গ্রহণ করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি যখন হেরাক্লিয়াসকে প্রথমবারের মতো একটি চিঠি পাঠান, তখন সাহাবিরা বলেন, “হে আল্লাহর রসুল, এইসব সম্রাটেরা মোম দিয়ে সিলগালা না করা থাকলে কোনো চিঠি গ্রহণ করে না।’

নবিজি (সা) জানতে চাইলেন, “কীভাবে তা করতে হয়?” সাহাবিরা বললেন, “সে জন্য শাসকের একটি বিশেষ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় যা কেউ নকল করতে পারবে না।” পরামর্শ শুনে নবিজি (সা) একটি স্ট্যাম্প তৈরি করার নির্দেশ দেন। তাতে উপর থেকে নিচের দিকে আল্লাহ, রসুল ও মুহাম্মদ—এই তিনটি শব্দ লেখা হয়। তারপর থেকে তিনি কারো কাছে চিঠি পাঠানোর সময় এই স্ট্যাম্পটি মোমের ওপর ব্যবহার করে চিঠি সিলগালা করতেন।
আরও পড়ুনঃ
