খাজরাজের কাছে দাওয়াত থেকে শিক্ষণীয় | ইয়াসরিবের জন্য বীজ রোপণ, নবি করিম (সা) সব উপজাতির প্রতিই সমান আন্তরিক ছিলেন। তিনি শুধু বীজ বপন করেছিলেন; ফল কোথা থেকে আসবে তা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে তিনি খাজরাজের কাছ থেকে তেমন কিছু আশা করেননি। নবিজি (সা) পরবর্তীকালে সাহাবিদের বলেছিলেন, মক্কাবাসের সময়ে আল্লাহ তাঁকে স্বপ্নে দেখিয়েছিলেন যে তিনি সবুজ ও খেজুরপাতা আছে এমন কোনো দেশে হিজরত করবেন। তিনি ভেবেছিলেন, সেটা হবে ইয়েমেন।

খাজরাজের কাছে দাওয়াত থেকে শিক্ষণীয় | ইয়াসরিবের জন্য বীজ রোপণ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, সেটা ইয়াসরিব। নবিজি (সা) ইয়াসরিবের প্রত্যাশা করেননি, তবু সেখানকার লোকদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা ও মনোযোগের কমতি ছিল না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার প্রতিদান তাঁকে দিয়েছিলেন। নবিজি (সা) ছয়জনের ওই দলকে গুরুত্বের সঙ্গে দাওয়াত দেওয়ার ফল হাতেনাতেই পেলেন। পরের বছর ইয়াসরিব থেকে দ্বিগুণেরও বেশি লোক তাঁর কাছে এলেন। তৃতীয় বছরে এলেন দশ গুণেরও বেশি লোক। এই তৃতীয় বছরেই তাঁরা নবিজিকে (সা) বললেন, “যে লোকগুলো আপনার ওপর এত অত্যাচার-নিপীড়ন করছে, আপনার আর তাঁদের মাঝে থাকা চলবে না।

আপনি আমাদের কাছে আসুন, সেখানে আপনি ইজ্জত ও সম্মানের সাথে থাকবেন। আমরা জান-প্রাণ দিয়ে আপনাকে রক্ষা করব।” এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি (আল্লাহ) তার জন্য (সংকট থেকে উত্তরণের) পথ করে দেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে জীবনের উপকরণ দান করেন।” [সুরা তালাক, ৬৫:২-৩] নবি করিমের (সা) ক্ষেত্রে ঠিক তা-ই ঘটেছিল। আমরা দেখতে পেলাম, কীভাবে মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে একটি পুরো শহর তাঁকে নেতা করার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠল।

আরও পড়ুনঃ
