উমায়ের ইবনুল হুমাম (রা) | বদরের যুদ্ধ-৪, এই পর্বে আমরা বদরের মূল যুদ্ধের ঘটনাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করব। কিন্তু শত শত ব্যক্তির অংশগ্রহণে সংঘটিত ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির প্রতিটি লড়াইয়ের বর্ণনা দেওয়া সত্যিই দুরূহ। আমরা শুধু কিছু ব্যক্তির নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করতে পারি। এখানে আমরা কয়েকটি ছোট ছোট ঘটনা আলোচনা করব যেগুলো ছিল মূলত দ্বৈরথ, অর্থাৎ দুজন ব্যক্তির মধ্যে সংঘটিত লড়াই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যুদ্ধের বেশিরভাগ বর্ণনাই সংরক্ষিত নেই। বদরের যুদ্ধ সম্পর্কে সব মিলিয়ে আনুমানিক ১৫টি ঘটনা আমরা জানি। আরেকটি অসুবিধার দিক হলো, এই ঘটনাগুলো কোনটার পর কোনটা ঘটেছিল তা সম্পর্কেও আমরা নিশ্চিত নই ।

উমায়ের ইবনুল হুমাম (রা) | বদরের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
উমায়ের ইবনুল হুমাম (রা)
বদরের যুদ্ধের প্রথম দিকের ঘটনাগুলোর মধ্যে উমায়ের ইবনুল-হুমামের (রা) ঘটনাটি অন্যতম। মুশরিক বাহিনী এগিয়ে আসতে শুরু করলে মুসলিমরাও সামনের দিকে এগোনোর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে নবি করিম (সা) মুসলিমদের বলেন, “এগিয়ে যাও এবং জান্নাতকে আলিঙ্গন করো, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর সমান।” উমায়ের সে সময়ে নিজের শারীরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য খেজুর খাচ্ছিলেন। নবিজির (সা) কণ্ঠে একথা শুনে তিনি বলে উঠলেন, “বাখিন, বাখি” (প্রাচীন আরবিতে ব্যবহৃত একটি বুলি, যা কোনো কিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে বলা হতো)। নবিজি (সা) জিজ্ঞেস করলেন, “এ কথা দিয়ে তুমি কী বোঝাতে চাইছ?”

উমায়ের: হে আল্লাহর রসুল, আমি বোঝাতে চাইছি, যদি আপনার কথাটি সত্য হয় তাহলে আমার এখানে (এই পৃথিবীতে) থেকে আর লাভ কী? আমি জান্নাতে বসবাসকারী লোকদের একজন হতে চাই।
নবিজি (সা): তুমি সেই মানুষদেরই একজন ।

উমায়ের (তাঁর হাতে থাকা খেজুরগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে)। আমি যদি এই খেজুরগুলো খাওয়া শেষ করার জন্য বেঁচে থাকি, তবে তা হবে আমার জন্য অনেক লম্বা সময় ধরে বেঁচে থাকা। উমায়ের আর দেরি না করে মুসলিম বাহিনীর সঙ্গে সামনের দিকে এগোতে থাকেন। তিনি সেইসব হাতেগোনা সাহাবির একজন যারা বদরের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। সাহাবিদের মধ্যে যাঁরা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরা বেশি মর্যাদাবান। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের স্তর আরও উপরে ।
আরও পড়ুনঃ
