আবু আল-বুখতুরি | বদরের যুদ্ধ-৪, এই পর্বে আমরা বদরের মূল যুদ্ধের ঘটনাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করব। কিন্তু শত শত ব্যক্তির অংশগ্রহণে সংঘটিত ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির প্রতিটি লড়াইয়ের বর্ণনা দেওয়া সত্যিই দুরূহ। আমরা শুধু কিছু ব্যক্তির নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করতে পারি। এখানে আমরা কয়েকটি ছোট ছোট ঘটনা আলোচনা করব যেগুলো ছিল মূলত দ্বৈরথ, অর্থাৎ দুজন ব্যক্তির মধ্যে সংঘটিত লড়াই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যুদ্ধের বেশিরভাগ বর্ণনাই সংরক্ষিত নেই। বদরের যুদ্ধ সম্পর্কে সব মিলিয়ে আনুমানিক ১৫টি ঘটনা আমরা জানি। আরেকটি অসুবিধার দিক হলো, এই ঘটনাগুলো কোনটার পর কোনটা ঘটেছিল তা সম্পর্কেও আমরা নিশ্চিত নই ।

আমরা জানি, নবি করিম (সা) আব্বাস, বনু হাশিম এবং আবু আল বুখতুরিকে হত্যা করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যুদ্ধের সময় আবু আল- বুখতুরিকে হত্যা করা হয়। বদরের ময়দানে একজন আনসারি তাঁকে দেখতে পেয়ে বলেন: “হে আবু আল বুখতুরি, আপনার কোনো ক্ষতি করতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং আপনি আত্মসমর্পণ করুন। আমরা আপনাকে শিবিরে নিয়ে যাব।”
আবু আল-বুখতুরি | বদরের যুদ্ধ-৪ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
আবু আল বুখতুরি: তাহলে আমার বন্ধুর ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? আনসারি। তার ব্যাপারে আমাদের কিছু বলা হয়নি। আবু আল-বুখতুরি: আমি চাই না, কুরাইশ মহিলারা এটা বলে বেড়াক যে আমি আমার বন্ধুর প্রাণের বিনিময়ে নিজেকে বাঁচিয়েছি।

এ কথা বলেই সে ওই আনসারিকে আক্রমণ করতে এগিয়ে যায়। আনসারি কোনো উপায় না পেয়ে আত্মরক্ষার জন্য তাকে হত্যা করতে বাধ্য হন। তারপর আনসারি নবিজির (সা) কাছে এসে বলেন, “হে আল্লাহর রসুল, আমি আপনার কথামতো আবু আল বুখতুরিকে বন্দি হিসেবে ধরে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে লড়াই করার জন্য এগিয়ে এলে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তাকে হত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।” ঘটনা শুনে নবিজি (সা) আনসারিকে ক্ষমা করে দেন।

আরও পড়ুনঃ
